গল্প : সিনিয়র গুন্ডি আপু যখন বউ ৩
লেখক : মোঃ রিফাত আলী মিথুন
পর্ব : 03/শেষ পর্ব



আমি : আজকে কলেজ নাই এজন্য প্যারা ও নাই । রুমে এসে লেপের ভিতরে ঢুকে পড়লাম । কেন যে পড়ালেখা আবিষ্কার হইছে । পড়ালেখা আবিষ্কার না হলে শীতের সকালে প্রতিদিন আর লেপের মধ্যে থেকে বের হতে হতো না । যত নষ্টের মূল এই পড়ালেখা , ধুর আর ভালো লাগে না । যাই হোক , লেপের মধ্যে ঢুকে ফেসবুক চালাচ্ছি এমন সময় আমার ফ্রেন্ড রবি মেসেজ দিলো , মেসেজ সিন করে তো আমার চোখ কপালে উঠে গেল । কারণ সকালে যে স্বর্ণা গুন্ডি কান ধরে উঠবস করাইছে সেই ছবি দিছে রবি । আমি রবি কে বললাম , দোস্ত তুই এই ছবি কই পাইলি । রবি বললো অতো কিছু শুনে লাভ নাই , ট্রিট দিতে হবে না হলে ছবি ভাইরাল কইরা দিমু । আমি বললাম , দোস্ত তুই না ভালো ছেলে । তুই এমন করতে পারবি আমার সাথে । রবি বললো আমাকে পাম দিয়া লাভ নাই তুই ট্রিট দিবি এটাই ফাইনাল । নাহলে আজকে ফেসবুকে । আমি বললাম , এই না না , আমি ট্রিট দিবো , কখন খাবি সেটা বল । রবি বললো , মামার দোকানে আছি তাড়াতাড়ি আয় , এখনি ট্রিট নিমু । আমি অসহায় হয়ে বললাম আচ্ছা দাঁড়া আমি আইতাছি । দোকানে গিয়া দেখি চার হারামী একজায়গায় , তারপর তারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমার পকেট ফাঁকা করে দিলো । আমার আদরের ৬ হাজার টাকা চলে গেল । ভাবতেই বুকটা ফাইট্টা যাইতাছে ।

আরো পড়ুনঃ রোমান্টিক প্রেমের গল্পের প্লেলিস্ট

স্বর্ণা : পরের দিন কলেজে গিয়ে কেম্পাসে বসে আছি । তখনি দেখি রিফাত একটা মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলতেছে । দেখেই মাথায় আগুন ধরে উঠলো । বেডার কতো বড় সাহস আমার সামনে অন্য মেয়ের সাথে টেংকি মারে । দ্বারা তোদের দেখাচ্ছি মজা । মনে মনে রিফাত এর চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে রিফাত এর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম । সামনে গিয়ে বলে উঠলাম , ঐ এখানে হচ্ছে টা কি । এটা কি প্রেম করার জায়গা একটু রেগে কথা গুলো বললাম ।

আমি : আমার ক্লাসমেট শিমুর কাছ থেকে একটা নোট নিচ্ছিলাম । তখনি হঠাৎ স্বর্ণা চলে আসলো । হঠাৎ চলে আসাতে একটু ভয় পেয়ে গেছি । কিন্তু তার থেকে অবাক হলাম স্বর্ণার কথা শুনে । কি বললো কিছু বুঝতে পারছি না । আমি কিছু বলার আগেই স্বর্ণা বলে উঠলো

স্বর্ণা : ঐ আমি কি বললাম কানে যাচ্ছে না । আর তুই কালকে ঐ ভাবে পালায় গেলি কেন । তোর তো আজকে খবর আছে চল আমার সাথে ।

আমি : কো কো কোথায় যেতে । আর কালকে প্রাইভেট ছিল তাই ঐ আর কি । প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দেন । এমন ভুল আর কখনো করবো না ।

স্বর্ণা : মনে মনে বলতেছি , তোকে এখানে ছেড়ে দেই আর তুই এই শাতচুন্নীর সাথে প্রেম লীলা করবি । এই স্বর্ণা থাকতে এটা কখনো সম্ভব নয় । আমি রিফাত এর কোন কথা না শুনে জোর করে ওখান থেকে একটা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গেলাম ।

আমি : মনে মনে আল্লাহকে ডাকতেছি , এই স্বর্ণা যদি এখন আমাকে মেরে ফেলে তাহলে কেউ দেখতে পাবে না । আল্লাহ বাঁচাও । কিন্তু স্বর্ণা আমার সব ধারণা ভুল প্রমাণিত করে আমাকে প্রোপজ করে বসলো ।

স্বর্ণা : রিফাত আমি তোকে ভালবাসি এবং তোকেও আমাকে ভালোবাসতে হবে । আমাকে ছেড়ে যদি অন্য কোন মেয়ের সাথে প্রেম তো দূরের কথা কথাও যদি বলিস তাহলে তোকে আমি খুন করে ফেলবো । So I Love you And Do you Love me

আমি : আমি মনে মনে ভাবছি , আচ্ছা ও কি আমাকে প্রোপজ করলো নাকি হুমকি দিলো । সে যাই হোক আমি তো স্বর্ণাকে ভালোবাসি । তাই প্রোপজ একসেপ করলাম এবং ১ বছর পর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়ে গেল আমাদের । বিয়ের আগে আমরা দুজনে চুটিয়ে প্রেম করলাম ।

----------- সমাপ্ত --------------